আবারও টাইগারদের ব্যাটিং নিয়ে হতাশা। 🏏
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে, শুরু হয়ে গেছে এশিয়া কাপে সুপার ফোর পর্বের ম্যাচ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ। তবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের মত ব্যাটিং পিচে বাংলাদেশ দলের বাটারদের এমন হতাশা জনক পারফরমেন্স সত্যি পিরা দেয়। দুই দিন আগেও আফগানিস্তানের সাথে যে দল ৩০০+ রান করেছে সেখানে সেই দলই ২০০ রানও অতিক্রম করতে পারে নি। যদিও এই আসরের হট ফেভারিট দল পাকিস্তানের সাথে জেতা টা অতটা সহজও ছিলোনা। তারপরও শুরুতেই দশ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশের টপ অর্ডারদের মাঠ ছাড়ার ধস নামে, এটা সব দলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।
আর বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান এর সমস্যা এটা নতুন কিছু না, এই সমস্যার সমাধান যে কবে আসবে সেটাও কেউ জানে না। মিডেল ওডারে সাকিব আর মুশফিক এসে একটু দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তারা দুই জন আর একটু রয়ে সোয়ে খেললে হয়তো স্কোর টা আরো বড় হতেও পারতো। কিন্তু তারা দুইজন আউট হওয়ার পর আর কেউ এসে ব্যাট হাতে মাঠে দাঁড়াতে পারে নাই। এরপর আর কোনো পার্টনারশিপ দেখা যায়নি। এইটা আরো বেশি পীড়াদায়ক যে লাস্ট ২ ওভারে ৪ উইকেট চলে যায় বাংলাদেশের। খেলোয়াড়রা মাঠে টিকেই থাকতে পারে নি, রান আসবে কিভাবে। যদিও পাকিস্তানের বোলিং লাইন আপ অনেক শক্তিশালী।
বাংলাদেশ দলের হয়ে গত ম্যাচে যারা যারা খেলেছেন তারা হলো মোহাম্মদ নাইম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), শামীম হোসেন, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ। আর পাকিস্তান দলে যারা ছিলেন তারা হলো ফখর জামান, ইমাম-উল হক, বাবর আজম (সি), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), আগা সালমান, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ, শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ।
শুরুতে বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা। শুরু থেকেই পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের বোলিং দাপটে ২২ গজের পিচে ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারে নি বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মেহেদি হাসান মিরাজ ও গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন। মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, তওহীদ হৃদয় কেউ বড় রানের স্কোর করতে পারে নি। দশ ওভারের আগেই ৪৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে দিসে হারা হয়ে পড়ে টাইগাররা। এরপর সাকিব ও মুশফিক এর ১০০ রানের পার্টনারশিপে বড় রানের ইনিংস এর স্বপ্ন দেখে সবাই। কিন্তু না সাকিব আর মুশফিক আউট হওয়ার পর দলের অবস্থা আবার সেই আগেই মতোই। এরপর শামীম, আফিফ এরা আসেও ইনিংসটাকে বড় করতে পারলো না। ১১ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই মাত্র ১৯৩ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
১৯৪ রানের টার্গেটে মাঠে এমে ১০ ওভার ৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। শুরুতে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট পড়ে ৩৫ রানে। ৩১ বলে ২০ রান করে মাঠ ছাড়েন ফখর জামান। এরপর দ্বিতীয় নম্বরে বাবর আজম এর উইকেট তুলে নেয় তাসকিন আহমেদ। ২২ বলে ১৭ রান করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর ইমাম উল হক এর ৮৪ বলে ৭৮ রান ও রিজওয়ান এর ৭৯ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে পাকিস্তানকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।