আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে টিম টাইগার্স। 🏏
এশিয়া কাপে টাইগারদের দ্বিতীয় ম্যাচ, আফগানিস্তানের সাথে ডু ওর ডাই ম্যাচে মাঠে নেমেছিল টিম টাইগার্স। প্রথম ম্যাচ শ্রীলংকার কাছে হেরে সুপার ফোরে ওঠার সমীকরণটা একটু কঠিনই ছিলো টাইগারদের জন্য। প্রথম শর্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে যেকোন ভাবে হোক জিততে হবে, দ্বিতীয়ত বড় একটা ব্যবধানে জিততে হবে না হয় জেতার পর ও শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এবং আফগানিস্তানকে হারতে হবে শ্রীলংকার কাছে। শত সমীকরণ সামনে রেখে বিশাল একটা রানের ব্যাবধানে জিতে সুপার ফোর এখন প্রায় নিশ্চিত টাইগারদের জন্য।
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ৫ উইকেটের পরাজয়ে হোচট খায় বাংলাদেশ। তবে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের দাপটে ভালো একটা রানের সংগ্রহ তুলে নেয় সাকিব বাহিনীরা। শুরুতেই বাংলাদেশ টসে জিতে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হাসান শান্তর সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ৩৩৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় টিম টাইগার্স। আর এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে তিনজন খেলোয়ারের পরিবর্তন আনা হয়েছিলো। তানজিদ হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসান এর পরিবর্তে খেলেছেন শামীম হোসেন, আফিফ হোসাইন ও হাসান মাহমুদ। আর আফগানিস্তানের মূল একাদশে ছিলেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি (সি), নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নায়েব, করিম জানাত, রশিদ খান, ফজলহক ফারুকী, মুজিব উর রহমান।
লাহোর এর গাদ্দাফি স্টেডিয়াম এ টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ওডিআই দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আর বাংলাদেশের ওপেনিং দুর্বলতাকে দুর করার জন্য ওপেনিংয়েও আনা হয় ভিন্নতা। শুরুতে ব্যাটিং করতে নামেন মোহাম্মদ নাঈম এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। দুইজনে মিলে ভালো একটা খেলা শুরু করলেও দলের ৬০ রানের সময় আউট হয় যায় মোহাম্মদ নাঈম। ৩২ বলে ২৮ রান করে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ নাঈম। এর পর মাঠে নামেন তওহীদ হৃদয়, তবে মাঠে নেমে রানের খাতা খুলতে পারেন নি তিনি। পরপর দুই উইকেট পরে একটু চাপেই পরে যায় টাইগাররা। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হাসান শান্ত দুইজনে সেঞ্চুরি করে দলকে বিশাল একটা রানের পাহাড় গড়ে দিয়ে যান। এরপর মুশফিক ও সাকিবরা এসে মুশফিকের ব্যাট থেকে ১৫ বলে ২৫ রান ও সাকিব এর ব্যাট থেকে ১৮ বলে ৩২ রানে দলের মোট রানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৩৪ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৩৫ তাঁকে তারা করতে প্রথমে একটু তোপের মুখেই পরে আফগানরা। কিন্তু এরপর ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি এর ব্যাটিংয়ে ভালো অবস্থানে চলে যায়। তবে হঠাৎ হাসান মাহমুদ এর বোলিংয়ে ইব্রাহিম জাদরান এর উইকেট নিয়ে বড় একটা ব্রেকথ্রু আসে তখন। ৭৪ বলে ৭৫ রান করে আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। রহমত শাহ করেন ৫৭ বলে ৩৩ রান আর হাশমতুল্লাহ শাহিদি করেন ৬০ বলে ৫১ রান। এরপর আফগান খেলোয়াড়রা আর ব্যাট হতে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। সবশেষে ৪৪ ওভার ৩ বলে ২৪৫ রানে অল উইকেট হয়ে যায় আফগানরা। এবং ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে টিম টাইগার্স। ১১৯ বলে ১১২ রান করে ম্যাচ সেরা হন মেহেদি হাসান মিরাজ। দুই ম্যাচের মধ্যে ১ ম্যাচ জিতে ২ পয়েন্ট ও +০.৩৭৩ রান রেট নিয়ে বাংলাদেশ এখন সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে।