চতুর্থবার শিরোপা জিতলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স 🏏🎉
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এর জয়ের মধ্যদিয়ে অবশেষে সমাপ্তি ঘটলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের নবম আসর। ২০১৫ সালে বিপিএল এ এসে এখন পর্যন্ত ছয়টা আসর খেলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। তার মধ্যে এবার নিয়ে কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চারবার। চারবার ফাইনালে উঠেছে এবং চারবারই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। কুমিল্লা এখন বিপিএলের সবোর্চ্চ শিরোপা জয়ী দল। আর তিন বার শিরোপা জিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দল ঢাকা।
এইদিকে সিলেট স্ট্রাইকার এর এইবারই ছিল প্রথম বিপিএলের ফাইনাল খেলা। শিরোপার খুব নিকটে যাওয়ার পরও শিরোপা জেতা হলো না মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার। মাশরাফির নেতৃত্বে তিনি চারবার বিপিএলের ফাইনাল খেলেন তার মধ্যে চরটাতেই জয়ী হয় মাশরাফির দল। ২০১২ সালের বিপিএলের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আবার ২০১৩ সালের দ্বিতীয় আসরেও মাশরাফির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স।২০১৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান এর প্রথম বিপিএল এ আসা এবং প্রথমবারই চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এবং সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। আবার ২০১৭ সালে বিপিএলের পঞ্চম আসরে মাশরাফির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর রাইডার্স। কিন্তু এইবার ২০২৩ সালে বিপিএলের নবম আসরে সিলেট স্ট্রাইকার মাশরাফির নেতৃত্বে ফাইনালে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠা হয়নি মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার।
তবে এবারের বিপিএল ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এর সাথে ভালো লড়াই করেছে। দুই দলেই ছিল সব ভালো ভালো খেলোয়াড়রা। সিলেট স্ট্রাইকার দেলের ফাইনাল ম্যাচের একাদশে ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম, রায়ান বার্ল, জর্জ লিন্ডা, থিসারা পেরেরা, লুক উড, তানজিম হাসান। আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দলের ফাইনাল ম্যাচের একাদশে ছিল ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, জাকের আলী, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম, মঈন আলী, সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, জনসন চার্লস।
শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের টার্গেট দেয় সিলেট স্ট্রাইকার। এর মধ্যে ৪৫ বলে ৬৪ রানের লম্বা ইনিংস খেলেন নাজমুল হাসান শান্ত। এদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তওহীদ হৃদয়। প্রথম ও দ্বিতীয় কোয়ালিয় ম্যাচে ভালো রান করলেও ফাইনালে এসে সুবিধা করতে পারেনি অধিনায়ক মাশরাফি। চার বলে এক রান করে আউট হয়ে যান তিনি। কিন্তু এর পর ম্যাচ এর হাল ধরেন মিস্টার ডিপেন্ডার মুশফিকুর রহিম। ৪৮ বলে ৭৪ করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর বাকিরা কেউই তেমন একটা রান করতে পারেনি।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ১৯.২ ওভারে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে চার বল হাতে থাকতেই জিতে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। লিটন দাসের ৩৯ বলে ৫৫ রান,সুনীল নারিনের পাঁচ বলে দশ রান, জনসন চার্লসের ৫২ বলে ৭৯ রান ও মঈন আলীর ১৭ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস চতুর্থ বারের মত বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় যায়। ৫২ বলে ৭৯ রান করে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হন জনসন চার্লস এবং চারটা হাফ সেঞ্চুরি নিয়ে ১৫ ম্যাচে ৫১৬ রান করে সবার উপরে থাকা নাজমুল হাসান শান্ত হন বিপিএলের সিরিজ সেরা খেলোয়াড়।