'ফুটবল ঈশ্বরের' ছোঁয়ায় খেলা সবসময় উপভোগ্য।
ফুটবল খেলার জন্মই হয়েছিল লিওনেল মেসি নামক একজনের জন্য, তিনি জন্ম নিবেন, ফুটবল খেলবেন আর সারা পৃথিবী সেটা দেখে অবাক হবেন, প্রতিনিয়ত।
তার প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেখবে আর মানুষ শুধু চোখ ভরে সেটা উপভোগ করবে। আমারতো মনে হয় শুধু চোখ না হৃদয় দিয়ে উপভোগ করছে এখন সবাই । কতবারই তো হাতের নাগালে এসেও ধরা দেয়নি। আক্ষেপ মেসির চেয়ে সেই কাপের বেশি । এখন মনেহয় কাপ, দর্শক, ইতিহাস আর ঈশ্বর সবাই হাফ ছেড়ে সস্থির নিঃশ্বাস নিতে পারবেন । মেসির স্পর্শ ছাড়া যে অপূর্ণই থেকে যেত সব।
কোপা আমেরিকা ম্যাচের কথাই ধরুন।
শেষ হলো কোপা আমেরিকা। ১-০ ব্যাবধানে আর্জেন্টিনা হারিয়ে দিল ব্রাজিল নামক চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কে। ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার লড়াই এমনিতেই অনেক উপভোগ্য দর্শকদের জন্য। সেইটা যদি হয় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল তাহলে তো কথাই নেই। উত্তেজনায় ভরপুর থাকে পুরো পৃথিবী । দেশ, পাড়া, পরিবার দুই ভাগ হয়ে যায় । আসলে পুরো পৃথিবীর মানুষ দুভাগে ভাগ হয়ে যায় । তর্ক, ঝগড়া শেষে মারামারি । এইভাবে আর কোনো কিছু মানুষকে নাড়া দিতে পারে কি না আমার জানা নেই ।
এবার ম্যাচে আশা যাক ।
খুব উত্তজনা নিয়ে খেলা দেখতে বসেছিলাম। খেলা যত আগাতে থাকলো উত্তেজনা কমতে থাকলো আর বিরক্তি বাড়তে থাকলো । একসময় তো মনে হলো ধুর এত্ত বাজে খেলা তো বাংলাদেশের লিগেও হয়না । এক ডি মারিয়ার সুন্দর গোল ছাড়া এই ম্যাচ একটা যাচ্ছেতাই ছিল । এইটা যদি ফাইনাল না হয়ে অন্য কোনো ম্যাচ হতো আমি খেলাটা দেখতামই না । যাইহোক মেসি কোনো কাপ জিতবে সেইটা দেখার জন্যই পুরো ম্যাচটা দেখেছি, আমি শিওর আমার মত লক্ষ মেসি প্রেমিক তাই করেছে ।
ম্যাচ শেষে মেসির কান্না ছিল খুব আবেগঘন একটা মুহূর্ত । কান্নাটা আসলে অনেক গুরুত্ব বহন করে । কান্না একদিকে যেমন ছিল আনন্দের, ঠিক অন্যদিকে ছিলো দীর্ঘদিনের জমে থাকা কষ্ট থেকে মুক্তির।
ব্যাক্তিগত জীবনে মেসির আর চাওয়ার বা পাওয়ার কিছু ছিল না কিন্তু দেয়ার বাকী ছিলো। দেশকে একটা কাপ দেয়ার বাকী ছিল । সেইটা দেয়া হয়েছে । সতীর্থরা যেইভাবে তাকে নিয়ে উল্লাস করেছে বোঝাই যাচ্ছিল মেসি যেনো কাপ পায় সেইটাই ছিল ফাইনালে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য । ফানালে হারলে তো এই দায় শুধু মেসির থাকতো না থাকতো তাদেরও। মেসির কারণে আর্জেন্টাইনরা এতগুলো বছর যেইভাবে আনন্দ পেয়েছে সতীর্থরা আর্জেন্টাইন হিসাবে তাকে জিততে মন প্রাণ দিয়ে সাহায্য করেছে ।
কোপা আমেরিকা নিয়ে আসলে আমার খুব একটা উত্তেজনা কোনো সময়েই ছিল না । ছিল মেসির জন্য । মেসি কিভাবে আপনাকে মোটিভেশন করতে পারে জানেন? বলছি ।
আপনি মেসির খেলার ভিডিও গুলা দেখবেন । ফুটবল যারা বোঝে তারা জানেন যে মেসির মত যারা প্রখ্যাত তারা খেলা সময় প্রতিপক্ষের থেকে সুবিধা আদায় করার জন্য পড়ে যাওয়া বা ব্যাথা পাওয়ার অভিনয় করে। মেসির ভিডিও দেখলে আপনি বুঝবেন যে কখনোই এই কাজটা করেনি । পরে যাওয়ার পর ও বল নিয়ে দৌড়াতে থাকতো যতক্ষণ না রেফারি বাঁশি বাজাত। পরিস্থিতি যতই খারাপ হক না কেনো, সতীর্থরা ঠিকমতো পারফর্ম করতে পারলো কি না, এইটা তার কাছে কখনো খুব একটা বাধা হয়ে থাকতো না । মেসি তার মত নৈপুণ্য করে যেত ।
দেশের জন্য কাপ জিততে না পারার প্রেসার তার কাছে যেভাবে প্রবল হয়ে উঠেছিল সেইটা মেসি যেইভাবে মোকাবিলা করেছে সেইটা শিক্ষণীয়। হার না মানা মনোভাবের জন্যই মেসি আজ সফল। ভিডিওগুলোতে দেখেন অপোজিশন তাকে থামানোর কত চেষ্টা, কত ছক, কত আয়োজন করে কিন্তু মেসি এইগুলোকে পাত্তা না দিয়েই এগিয়ে যায়, পারফর্ম করে মানুষকে মুগ্ধ করে ।
সাফল্যের জন্য পরিশ্রম করেই যায়। তাই জীবনে যখন বাধা আসবে, কাছের মানুষ আপনাকে ঠিকমতো সাপোর্ট করতে পারবে না তখন থেমে যাওয়া যাবে না, এগিয়ে যেতে হবে । নিজের কাজ করে যেতে হবে, বিশ্বাস করতে হবে আপনি পারবেন। পরিশ্রম করা ছেড়ে দেয়া যাবে না ।
মেসি কে নিয়ে একটা শর্ট অ্যানিমেশন ফিল্ম আছে, দেখবেন , আমি নিশ্চিন্ত হয়ে বলতে পারি আপনি ইন্সপায়ার হবেন । Heart of a Lio হলো নাম । মূল কথা হলো : Don't give up on your dream because when you have dream to chase nothing can stop you..
Electronic-terrorism, voice to skull and neuro monitoring on Hive and Steem. You can ignore this, but your going to wish you didnt soon. This is happening whether you believe it or not. https://ecency.com/fyrstikken/@fairandbalanced/i-am-the-only-motherfucker-on-the-internet-pointing-to-a-direct-source-for-voice-to-skull-electronic-terrorism