পাকিস্তানকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়!!

avatar

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছে পাকিস্তান জাতীয় দল। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই এই সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে দু'দল। ইতিমধ্যেই দল দুটির মধ্যাকর প্রথম দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দল। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪৬ রানে জয়ের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ২১ রানে জয় পেয়েছে ব্লাক ক্যাপসরা। নিউজিল্যান্ডের এই অসাধারণ পারফরমেন্সের বিপরীতে পাকিস্তান দল ব্যর্থ হয়েছে তিন ডিপার্টমেন্টেই!!

পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যাকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ১২ ই জানুয়ারি। নিউজিল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। শুরুতে বোলিং করে স্বাগতিকদের অল্প রানে আটকে দেওয়াই ছিল পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য। কিন্তু পাকিস্তানের বোলাররা ব্যর্থ হয় তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে। যার ফলস্বরূপ বিশাল রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড।

শুরুতে ব্যাটিং করে কেইন উইলিয়ামসন এবং মিচেলের ভালো ব্যাটিংয়ে ২২৬ রানের বিশাল টার্গেট দাড় করায় নিউজিল্যান্ড। ২২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্তভাবে। ওপেনার সাইম আইয়ুব মাত্র ৮ বলে ২৭ রান সংগ্রহ করে৷ তবে এই প্লেয়ার বেশিক্ষন পিচে টিকে থাকতে পারেনি। সাইম আইয়ুবের বিদায়ের পর বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের ভালো ব্যাটিং পারফরমেন্সে জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো সফরকারীরা। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর পাকিস্তানের আর কোন ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি। ফলে ১৮০ রানেই অল-আউট হয় পাকিস্তান। ৪৭ রানে জয় পেয়ে ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড দল। অসাধারণ পারফরমেন্সে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয় নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান মিচেল।

পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় নিউজিল্যান্ডের সেডন পার্কে। এই ম্যাচেও শুরুতে টসে জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন। পূর্বপরিকল্পনাকে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম না হলেও এদিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২০০ রানের নিচে আটকাতে সক্ষম হয়েছিল পাকিস্তানের বোলাররা। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারের অসাধারণ জুটির পর মনে হয়েছিলো এই ম্যাচেও ২০০ পার করবে নিউজিল্যান্ড দল। কিন্তু হ্যারিস রউফ এবং ক্যাপ্টেন শাহিন শাহ আফ্রিদির ভালো বোলিংয়ে ১৯৪ রানেই থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।

এই ম্যাচে পাকিস্তানের সামনে সুযোগ ছিলো জয় দিয়ে সিরিজে ফেরার। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় এই ম্যাচেও হেরেছে সফরকারীরা। বাজে শুরুর পর বারব আজম এবং হ্যারিস রউফের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভালোভাবে কাম ব্যাক করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর আবারো ব্যর্থ হয় পাকিস্তানের মিডেল অর্ডার। ফলে ১৭৩ রানেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস। ২১ রানের জয় দিয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দল। পাকিস্তান কি পারবে কামব্যাক করতে? নাকি হেসেখেলেই সিরিজ জিতবে নিউজিল্যান্ড?

image.png
Pixabay



0
0
0.000
0 comments