বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড || বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতি!
আর মাত্র কয়েকদিন পরে শুরু হতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের সবচাইতে বড় আসর ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ক্রিকেট বিশ্বকাপকে ঘিরে দলগুলো ইতিমধ্যেই তাদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কয়েকটি দল বাদে অধিকাংশ দলই ঘোষণা করেছে তাদের বিশ্বকাপের স্কোয়াড। বিশ্বকাপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে বেশ কয়েকটি দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে দীপাক্ষিক সিরিজে। তার মধ্যে বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের এবং ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজটি অন্যতম!
এবারের ওডিআই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের মাটিতে। উপমহাদেশের কন্ডিশনে নিজেদের মানিয়ে নিতে উপমহাদেশের বাইরে দলগুলো সফরে আসছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। সেই সুবাদে নিউজিল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে তিন ম্যাচ ওডিআই খেলতে পারে জমিয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। ইতিমধ্যে দল দুটির মধ্যকার প্রথম দুইটি ওয়ান ডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে প্রথম ম্যাচে জয় হয়েছে বৃষ্টির। তবে দ্বিতীয় ওডিআই তে অসাধারণ পারফরমেন্স করে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড দল।
বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যাকার প্রথম ওডিআই তে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ক্যাপ্টেন লিটন কুমার দাস। পরিকল্পনা ছিলো ভালো বোলিংয়ে কিউইদের অল্প রানেই আটকে দেওয়া। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ইনিংসে যেনো সহজেই অল্প রান তারা করে জয় পাওয়া সম্ভব হয়। বাংলাদেশ তাদের পরিকল্পনাকে মাঠে বাস্তবায়নও করেছিলো। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৪২ ওভারের খেলা নির্ধারিত হয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশ ৩৪ ওভারে ১৩৬ রানে নিউজিল্যান্ডের মূল্যবান পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়েছিলো।
জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে খেলতে থাকা বাংলাদেশের পথে এই ম্যাচে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে মাঠে নামতে পারেনি। কোন ফলাফল ছাড়াই শেষ হয় দুই দলের মধ্যকার প্রথম ওডিআই ম্যাচ। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ভালো বোলিং করেছিলো মোস্তাফিজুর রহমান এবং নাসুম আহমেদ। মোস্তাফিজুর রহমান তিনটি এবং নাসুম আহমেদ দুটি উইকেট তুলে নিয়েছিলো।
প্রথম ওডিআই এর পর দ্বিতীয় ওডিআই তেও শুরুতে ফিল্ডিং করে বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে বাংলাদেশ টসে জিততে পারেনি। টসে জিতে বলে কে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ফার্গুসন। এই ম্যাচেও নিজেদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালোভাবে করতে না পারলেও মাঝপথে হেনরী নিকোলাস এবং ব্লান্ডেলের প্রায় শতরানের জুটিতে ভালো অবস্থানে থেকে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে শেষদিকে একটি ইনিংস খেলে সদি। তবে হাসান মাহমুদ তাকে মানকাড আউট করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে মাঠে ফিরিয়ে আনেন।
নিউজিল্যান্ড ২৫৫ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ১০ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান ছিলো বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে। তারপরেই শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ৭০ রানের চার উইকেটের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৬৮ রানেই অল-আউট হয় লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বহুদিন পর একাদশে জায়গা পাওয়া অভিজ্ঞ প্লেয়ার তামিম ইকবাল খান এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ছাড়া এই ম্যাচে কোন প্লেয়ার ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রানে ইনিংস খেলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দশ হাজার রান পূর্ণ করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এই ম্যাচে আবারো প্রমাণিত হলো তামিম-মাহমুদুল্লাহরা এখনো ফুরিয়ে যায়নি। তথাকথিত তরুণ, ইয়ংস্টার এবং ক্লাসিকাল প্লেয়ারদের থেকে তামিম-মাহমুদুল্লাহ এবং মুশফিকরা কোন অংশে কম যায় না। বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে হলে অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের বিকল্প নেই। তাই তামিম-মাহমুদুল্লাহ প্রত্যাবর্তনের দলে আবারও সমতা ফিরে আসবে তাই কাম্য!
Bangladesh Cricket : The Tigers
বাংলাদেশ ভালো খেলুক আর খারাপ খেলুক তবুও বাংলাদেশ ভালোবাসি 🥰🥰🥰
এটাই স্বাভাবিক না ! তবে এতোদিন ক্রিকেট খেলে এমন বাজে পারফরম্যান্স মেনে নেওয়াটা কঠিন।