পাকিস্তানের বহুর প্রতীক্ষিত জয়!
দীর্ঘ সাধনার পর ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেলো পাকিস্তান দল। গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে কানাডার বিপক্ষে সাত উইকেটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকার বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হাড়ের পর ভারতের বিপক্ষেও ৭ রানে হারে দলটি। ফলে পাকিস্তানের সেরা আটে উত্তীর্ণ হওয়ার রাস্তাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তবে সর্বশেষ ম্যাচে বাচা মরার লড়াইয়ে কানাডার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় দিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে উত্তীর্ণ হওয়ার আশা বাচিয়ে রাখে পাকিস্তান দল!
সর্বশেষ t20 বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল পাকিস্তান। এবারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাও তারা শুরু করেছিল ফেভারিটের তকমা নিয়েই। কিন্তু শিরোপা জয়ের আশা নিয়ে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা পাকিস্তান দল হোঁচট খায় প্রথম ম্যাচেই। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে স্বাগতিক ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকার বিপক্ষে সুপার ওভারে হারের স্বাদ পায় পাকিস্তান। বিশ্ব রেংকিংয়ে সপ্তম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড জয় পায় ১৩তম অবস্থানে থাকা আমেরিকা। ফলে বিশ্বকাপে প্রথম অঘটনের সাক্ষী হয় ক্রিকেট বিশ্ব।
প্রথম ম্যাচে ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকার বিপক্ষে হারের পর পাকিস্তান মুখোমুখি হয় এশিয়ার আরেক শক্তিশালী দল ভারতের বিপক্ষে। এই ম্যাচেও জয়ের দারুন সম্ভবনা তৈরি করে পাকিস্তান। কিন্তু শেষ দিকের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র সাত রানের ব্যবধানে হারতে হয় পাকিস্তানিদের। ফলে গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচে দুইটিতেই হার নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তীর্নের সমীকরণটা কঠিন করে ফেলে পাকিস্তানিরা। তৈরি হয় সর্বশেষ আসরে রানার্স-আপ দলের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার শংকা!
নিজেদের বাচামরার ম্যাচে পাকিস্তান মুখোমুখি হয় কানাড়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিলোনা পাকিস্তানের সামনে। ডু অর ডাই ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দিতে সক্ষম হয় পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা। ফলে বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের দেখা পায় বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। এই ম্যাচে কানাডাকে পাকিস্তান হারায় সাত উইকেটের ব্যবধানে !
কানাডার বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তান শুরুতে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে পাকিস্তানের আমন্ত্রণে শুরুতে কানাডার হয়ে ওপেনিং আসে এরন জনসন এবং ডালিওয়াল। নিউ ইয়র্কের স্লো পিচে এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয় কানাডার ব্যাটসম্যানরা। একমাত্র দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এরন জনসন ছাড়া আর কেউ ব্যাক্তিগত ১৫ রান পার করতে পারেনি। জনসনের দুর্দান্ত অর্ধশত রানে নির্ধারিত বিষ ওভার শেষে ১০৭ রানে থামে কানাডার প্রথম ইনিংস!
নিউ ইয়র্কের স্লো পিচে ১০৮ রান চেজ করে জয় পাওয়াটা মোটেও সহজ ছিলনা পাকিস্তানের জন্য। কেননা এই ম্যাঠেই পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ ১২০ এবং ১১৪ রান চেজ করে জিততে পারেনি। তাই এই ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের দিকেই তাকিয়ে ছিল দলটির ভক্ত সমর্থকরা। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এই ম্যাচে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে পাকিস্তানের দুই সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের পারফরমেন্সে সাত উইকেটর ব্যাবধানে জয় সহ ভালো রানরেট অর্জন করে পাকিস্তান দল। পরবর্তী রাউন্ডে উত্তীর্ণ হবার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে সর্বশেষ ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকার দিকে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান কি পারবে সেরা আটে কোয়ালিফাই করতে?
PCB